ঢাকা , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় সৌদির সাহায্য চেয়েছে ইরান সৌদিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির মার্কিন পরিকল্পনায় ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া সালমানের বাড়িতে গুলির ঘটনায় আনমোল বিষ্ণোই গ্রেপ্তার এরশাদ হাসানের নাটক, মঞ্চে হাজির হচ্ছেন ফেরদৌসী মজুমদার মা হচ্ছেন সোনম কাপুর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাহিনীর সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পল্লী চিকিৎসকের অতিরিক্ত ইনজেকশনে শিশুর মৃত্যু, দেড় লাখ টাকায় দফারফা জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে উত্তাল তানোরে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে শিক্ষকদের ভুমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা জমাদিউস সানি মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। দল ক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাস মুক্ত শান্তির সিংড়া গড়ে তুলবো - অধ্যক্ষ আনু রাকাব-এর (ডিজিএম) আবুল কালামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে নেমেছে দুদক রাজশাহী বিচারকের ছেলেকে হত্যা ও স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আসামি লিমনের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড রামেক হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তার আটক রাজশাহী সিটিকে পৃথিবীর অন্যতম সেরা সিটিতে পরিণত করতে কাজ করতে হবে, প্রশাসক আন্তর্জাতিক মৎস্য সম্মেলনে শনিবার রাজশাহী আসছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা নগরীর আইডি বাগানপাড়ায় ৭জন মাদককারবারী গ্রেফতার হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে কাজলা গেটে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা

  • আপলোড সময় : ১৯-০৮-২০২৫ ০৯:১০:৫১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৮-২০২৫ ০৯:১০:৫১ অপরাহ্ন
মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা ছবি: সংগৃহীত
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাসুকা বেগম ও মাহফুজা খানম মানবতা ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল, দুই ছেলে আদিল রশিদ ও আয়ান রশিদ, বোন মেহেতাজ চৌধুরী, ভাই মুনাফ মজিব চৌধুরী ও নিকট আত্মীয় কাওসার হোসেন চৌধুরী; শিক্ষক মাসুকা বেগমের বোন পাপড়ি রহমান ও ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান এবং শিক্ষক মাহফুজা খাতুনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা, বোন মুরশিদা খাতুন, ভাগ্নে মো. মাইদুল ইসলাম ও নিকট আত্মীয় হুমায়ূন কবির।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনও সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানা মাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, এ শোক আপনাদের একার নয়। জাতি হিসেবে আমরা এই শোককে ধারণ করি।

এসময় তিন শিক্ষক পরিবারের কাছে তাদের স্মৃতিকথা শুনতে চান প্রধান উপদেষ্টা।

শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল বলেন, তাকে যখন হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল তখন ফোনে আমার সাথে কথা হয়। সেদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে যে দৃশ্য দেখেছি, তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। জীবনে যেন কারও সেই অভিজ্ঞতা না হয়। আমি তাকে দেখলাম, একপাশ পুরোটা পুড়ে গেছে। সেখানে কয়েকজন সামান্য দগ্ধ বাচ্চা চিকিৎসা নিতে নিতে আমাকে বলল, ‘মিসই আমাদের টেনে টেনে বের করে আনল! মিস তো সুস্থ ছিল! এমন হলো কেন!’ আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি বের হয়ে এলে না কেন? তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না?’ সে আমাকে বলল, ‘ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের একা রেখে আমি কী করে চলে আসি?’ পৃথিবীর সকল মানুষ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তার জন্য দোয়া করেছে। সবার জন্যই সে নিবেদিত প্রাণ ছিল।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ২৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষক মাহফুজা খাতুন। মায়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা।

তিনি বলেন, আমার মা অনেকখানি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। আমি ভেবেছিলাম, মা’কে নিয়ে বাড়ি ফিরব। মাকে যেদিন হুইলচেয়ারে বসাই সেদিন মনে হলো আমি বিশ্বজয় করেছি। মা ছাড়া একেকটা দিন আমার স্বপ্নের মতো মনে হয়। আমার তো বাবা নেই, এখন মাও চলে গেল। আমি এতিম হয়ে গেলাম। এখন পর্যন্ত নিজের বাসায় ফিরতে পারিনি। মা ছাড়া সে বাসায় ফিরব কী করে?

শিক্ষক মাসুকা বেগমের ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেক দিন ধরেই তার বোন অসুস্থ। চোখে কিছুটা কম দেখেন। মাসুকা সবসময় তার বাবা ও বোনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, তাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা ছিল। বাবাকে নিয়মিত হাতখরচ পাঠাত। আমার ছেলে-মেয়েদের ও নিজের সন্তানের মতো মনে করত। প্রতিদিন তাদের সঙ্গে ওর কথা হতো। আমরা আর তার স্কুল—এই ছিল তার জীবন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাদের কথা শুনতে কষ্ট লাগে। একইসঙ্গে গর্ববোধ হয় যে আমাদের দেশে এমন নাগরিক আছে যারা অন্যের জীবন বাঁচাতে আগুনে ঝাঁপ দিয়েছে। মানবতার এই দৃষ্টান্ত তারা প্রমাণ করে গেছে। আমরা ক্ষুদ্র মানব ছিলাম, তারা আমাদের বড় করেছে। সবার ভেতরে নাড়া দিয়েছে। সবাই এটা নিজের মধ্যে অনুভব করেছে যে, ‘আমি যদি সেই অবস্থানে থাকতাম, আমি কী করতাম? আমি কি জীবনের পরোয়া না করে এভাবে ছোট শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে আত্মবিসর্জন দিতাম? এই প্রশ্ন সবার মনে এসেছে।’

তিনি বলেন, এই শিক্ষকগণ আমাদের গর্ব, আমাদের আদর্শ। তাদের স্মৃতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, আমরা তা করব।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী বিচারকের ছেলেকে হত্যা ও স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আসামি লিমনের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড

রাজশাহী বিচারকের ছেলেকে হত্যা ও স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আসামি লিমনের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড